Tuesday, October 24, 2017

জানেন কি জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করতে হয় কেন, না করলে সমস্যা কী?





ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর দিন শেষে আবার ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত গোটা জীবনের সব ধরনের কাজের দিক-নির্দেশনা ইসলামে প্রদত্ত হয়েছে। ইসলামের কিছু বিধান এসেছে সরাসরি আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে। যাকে আমরা পবিত্র কুরআনের মাঝে পেয়ে থাকি।

এছাড়া ইসলামের আরো কিছু বিধান সাব্যস্ত হয়েছে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবন যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে জেনে রাখার বিষয় হলো- রাসূলের (সা.) জীবন যাপন প্রক্রিয়াও মূলত আল্লাহ মহানের নির্দশনায় বাস্তবায়িত হয়েছে।

মুসলিম সমাজে এখন পবিত্র হজের পবিত্র আবহ বিরাজ করছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে অনেকেই সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। পবিত্র হজ পালনের মৌসুমে কিছু বিষয় বা বস্তু নিয়ে বিশ্বব্যাপি আলোচনা হয়। তার মাঝে জমজমের কূপের পানির বিষয়টি অন্যতম।

এমন কোনো হাজি সাহেব পাওয়া যাবে না, যিনি হজ শেষে পবিত্র এই কূপের পানি সঙ্গে করে না নিয়ে আসেন। জমজম কূপের পানি আল্লাহ মহান প্রদত্ত একটি নেয়া্মত। আমরা জানি, সাধারণত পানি বসে পান করা সুন্নাত। কিন্তু জমজমের পানি দাঁড়িয়ে খাওয়ার বিধান রয়েছে ইসলামে। এটা কেন? এই বিধান কতটুকু কোরআন-হাদিস সম্মত?

সাধারণত বা স্বাভাবিক নিয়মে পানি বসে পান সুন্নাত। এ ব্যাপারে রাসূল (সা.)-এর হাদিস রয়েছে এবং এ বিষয়টির প্রতি রাসূল (সা.) গুরুত্বারোপও করেছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করাকে তিরস্কার করেছেন। (মুসলিম শরীফ ৫১১৩, বাংলা, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত)


এছাড়া হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে। (মুসলিম শরীফ ৫১১৮, বাংলা, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত) সুতরাং পানি বসে খাওয়া সুন্নাত এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ বা সমস্যা নেই।


এখন প্রশ্ন হলো জমজমরে কূপের পানি বসে পান করতে হবে নাকি দাঁড়িয়ে পান করতে হবে- এ ব্যাপারে ইসলামি দিক-নির্দেশনা কী? হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলকে (সা.) জমজমের পানি পান করিয়েছি। তিনি তা দাঁড়িয়ে পান করেছেন। [বুখারি ১৬৩৭, ৫৬১৭, মুসলিম ২০২৭, তিরমিযি ১৮৮২]


এছাড়া রাসূল (সা.) থেকে আরো আলোচনা পাওয়া যায়। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন- জমজমের পানি যে জন্য পান করা হয়ে থাকে; তা সে জন্যই হবে । অর্থ্যাৎ জমজমের পানি পান যে উদ্দেশ্যে পান করা হবে তাই পূর্ণ হতে পারে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩০৬২; মুসনাদে আহমাদ, ১৪৮৪৯)
বিজ্ঞ ফকিহ বা ইসলামী স্কলারদের মতে, জমজমের পানি কিবলা দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নাত না, মুস্তাহাব একটি আমল এবং এটাকে খুব গুরুত্ব প্রদান করা বা আবশ্যক ভাবা ঠিক না। এছাড়া অন্য ফকিহরা বলেছেন, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা মুস্তাহাবও না, বরং জায়েজ । (ফাতওয়ায়ে শামী-১/২৫৪-২৫৫)


জমজম কূপের পানি রাসূল (সা.) দাঁড়িয়ে পান করেছেন, মর্মে সহিহ হাদিস রয়েছে। তবে তিনি জমজমরে পানি দাঁড়িয়ে পান করার নিদের্শ দিয়েছেন এমন কোনো সহিহ হাদিস নেই বা খুঁজে পাওয়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো রাসূল (সা.) জমজমের পানি পান করার জন্য দাঁড়িয়েছেন, ব্যাপারটি এমন নয়। যখন তিনি জমজমরে পানি পন করেছেন, তখন সেখানে বসার মতো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে রাসূল (সা.) দাঁড়িয়ে জমজমের পানি পান করেছেন।


সুতরাং বিষয়টিকে খুব কঠিনভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং জমজমের পানিকে দাঁড়িয়ে পান করার বিধান বানানো বা আবশ্যক ভাবার কোনো অবকাশও নেই। রাসুল (সা.) পরিস্থিতির কারণে জমজমরে পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন। এখন পরিস্থিতি অনুকূলে থাকার পর বা বসার ব্যবস্থা থাকার জমজমরে দাঁড়িয়ে পান না করাই উচিত।

যে কারণে সিজার করা হয়, কেউ মিস করবেন না পোস্টটি, অনেক কিছু জানতে পারবেন





যে কারণে সিজার করা- সুস্থ মা সুস্থ শিশু। মায়ের সুস্থতাই নির্ধারণ করবে সন্তানের সুস্থতা। আর সেজন্য দরকার মায়ের সার্বক্ষণিক যত্ন।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অন্যান্য দেশে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দানের ব্যাপার টা স্বাভাবিক।
বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দানের ব্যাপারে সবাই সমর্থন প্রদান করে আসেন। কেননা এতে করে সিজার এর আগে সন্তান জন্ম দানকারী মা হাসপাতালে কয়েকদিন পরিচর্যায় থাকেন।
অনেকে ভাবেন সিজার এর মাধ্যমে সন্তান জন্ম দান হলে কোন সমস্যা থাকেনা। সন্তানের সুস্থতার বিষয়টি এখানে মুখ্য থাকে।কিন্তু সিজার এর পেছনে রয়েছে এক কঠিন বাস্তবতা।
সদ্যজাত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা কিংবা গর্ভধারিণী মায়ের শারীরিক পরিচর্যা নয় মূলত ৩টি কারণে সিজার করাতে মানুষজনকে বাধ্য করা হয়।
এগুলো হল-
১. টাকার জন্য।
২. মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারিক বা ইন্টার্নি করার জন্য।
৩. প্রাইভেট মেডিকেলে গাইনি ডাক্তাররা সিজার না করালে কর্তৃপক্ষ তাদের হাসপাতালে রাখেন না।
ইউরোপ ও আমেরিকায় সবচেয়ে কম সংখ্যক সিজার অপারেশনের ঘটনা ঘটে। প্রথমত তারা স্বাভাবিক ডেলিভারির সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
কেউ একেবারে মৃত্যু ঝুঁকির দিকে না গেলে তারা সিজার অপারেশনে যায় না। ইতালি সহ ইউরোপের অনেক দেশে ইচ্ছাকৃত সিজার অপারেশনকে বেআইনি হিসেবে গণ্য করা হয়।
একটা নরমাল ডেলিভারির জন্য একজন ডাক্তারকে ২ থেকে ১৮ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।
এর বিনিময়ে সে পায় মাত্র ৮০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। আর সিজার করলে ২৫-৩৫ মিনিটে পেয়ে যায় ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। বর্তমান সময়ে সময়ের থেকে এই টাকার গুরুত্ব বেশী।
আর একারণেই হয়তবা স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, ‘টাকা কামাইয়ের জন্য চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব করাচ্ছে।’
সর্বশেষ বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভে-এর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ২৩% সিজার অপারেশন হয় এবং এর ৮০% হয় বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে।

শাহজাহান-মমতাজ সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানলে অবাক হবেন




তাজমহলকে ‘ভালোবাসার’ প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। মুঘল সম্রাট শাহাজাহন তাঁর প্রিয় স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নির্দশন হিসেবে তাজমহল তৈরি করেছিলেন। এই তাজমহল, সম্রাট শাহজাহানকে নিয়ে রয়েছে নানান তথ্য। তাজমহল তৈরির কাজ শুরু করা হয় ১৬৩২ সালে এবং তা শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। প্রায় ২২ বছর সময় লেগেছিল তাজমহল তৈরি করতে। আর এই তাজমহল তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় এক মিলিয়ন ডলার! শুধু তাজমহল নয় সম্রাট শাহাজানের রয়েছে নানান অজানা তথ্য যা নিয়ে আমাদের আজকের এই ফিচার।
১। শাহাজাহনের সম্পূর্ণ নাম কী ছিল জানেন? তার নাম “শাহেনশাহে আল-সুলতান-আল আযাম ওয়াল খোয়ান আল মুখাররাম, মালিক-উল-সালতানাত, আলা হাজারাত আবুল মুজাফার শাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ শাহ জাহান ১, শাহিব-ই-কুরান-ই-শানি, পাদশাহ গাজি জিলুলাহ, ফেরদৌস-আশিয়ানি, শাহেনসাহ-ই-সালতানাত উল হিন্দিয়া ওয়াল মোঘহালিয়া।” সিংহাসনে বসার পর নানান উপাধি যুক্ত হয়েছে নামের সাথে।
২। শাহ জাহান তার জীবনে মোট ৭ বার বিয়ে করেছিলেন। আর মমতাজ ছিলেন তার চতুর্থ স্ত্রী।
৩। মুঘল সম্রাটকে বিয়ে করার আগে মমতাজের অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। মমতাজ মহলের রূপে মোহিত শাহজাহান মমতাজের প্রথম স্বামীকে খুব নির্মমভাবে হত্যা করেন। তারপর মমতাজকে তিনি বিয়ে করেন।
৪। মমতাজের মৃত্যু হয় ১৪ তম সন্তান জন্ম নেওয়ার সময়।
৫। শুনলে অবাক হবেন, যে স্ত্রীকে শাহজাহান এত ভালোবাসতেন, তাঁর মৃত্যুর পর পরই তার ছোট বোনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই মুঘল সম্রাট। আর এই ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তার ভালোবাসাকে।
৬। ১৬৫৭ সালে অনেক অসুস্থ হয়ে পরেন শাহ জাহান। আর সেসময় সিংহাসনে কে বসবে তা নিয়ে শুরু হয় ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ। যা ইতিহাসে সামুগড়ের যুদ্ধ নামে খ্যাত। সেই যুদ্ধে একদিকে ছিলেন শাহ জাহানের বড় ছেলে দারা শেক আর অপরদিকে ছিলেন শাহ জাহানের দুই ভাই আওরঙ্গজেব এবং মুর্দ বাক্স। সেই যুদ্ধ চলছিল প্রায় এক বছর।
৭। ছেলে আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দী হন সম্রাট শাহজাহান।
৮। শাহজাহান মৃত্যুর পর তার কোনো রাষ্ট্রীয় কবর ছিল না ১৬২৮ থেকে ১৬৫৮ পর্যন্ত।
৯। সম্রাট শাহজাহানের জন্য সমাধিক্ষেত্র বানাতে যে খরচ হতো তা খরচ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তার ছেলে আওরঙ্গজেব। তাই তো শাহ জাহানকে কবর দেওয়া হয়েছিল তার প্রিয় বেগম মমতাজ মহলের ঠিক পাশেই, তাজ মহলের এক গোপন কুঠুরিতে।
১০। তাজমহল তৈরিতে মানুষের পাশাপাশি হাতিও কাজ করেছিল। প্রায় ১০০০ হাতি তাজমহলের দেয়ালে কারুকাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।